ঢাকা , রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ , ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফের ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস ভারতের ইউটিউবার জ্যোতির সঙ্গে ছিল পাকিস্তান হাইকমিশনের যোগাযোগ! আইনি জটিলতায় মিঠুন চক্রবর্তী, ভাঙা হতে পারে বাড়ি পাঁচ বছর পর এলো তবুও ভালো লাগছে : জয়া আমরা কখনোই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেব না: পাকিস্তান ইসিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আইনের সংশোধনের দাবি জামায়াতের একনেকে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান : জরিমানা ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন সাম্য হত্যা: শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ছাত্রদল গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু সাত কলেজের অনার্স-মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ ফ্রান্স-স্পেন সফরে যাচ্ছেন না প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাদেশ বাতিল না হলে এনবিআরে কলম বিরতি চলবে সাম্য হত্যার তদন্ত ডিবির কাছে হস্তান্তরের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার টকশোতে অশ্লীল শব্দচয়ন : উপস্থাপিকা তমা রশিদকে লিগ্যাল নোটিশ ৩ বিভাগে অতিভারী বর্ষণের আভাস আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা আমিরাতের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন শান্ত নড়াইলে সাড়া ফেলেছে বিশাল আকৃতির ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ মা হচ্ছেন রাধিকা, দাদা হচ্ছেন আম্বানি

পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবস আজ

  • আপলোড সময় : ২৯-১১-২০২৪ ০৯:৩০:০২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-১১-২০২৪ ০৯:৩০:০২ পূর্বাহ্ন
পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবস আজ
আজ ২৯ নভেম্বর, পঞ্চগড় হানাদার বাহিনী মুক্ত দিবস। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৭ মাস কঠিন লড়াইয়ের পর ১৯৭১ সালের এ দিনটিতে মিত্রবাহিনীর সহযোগীতায় মুক্তিযোদ্ধারা দখলদার পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে পঞ্চগড়কে মুক্ত করতে সক্ষম হয়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বপ্ন বুকে লালন করে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এদেশের দামাল ছেলেরা। মুক্তিকামী বাঙ্গালীর সেই বীরত্বগাঁথা দিনগুলোর অন্যতম ২৯ নভেম্বর ১৯৭১। এ দিনটিতেই দেশের সর্ব উত্তরের জনপদ পঞ্চগড় অত্যাচারী পাকহানাদার মুক্ত হয়। দেশের মোট ৪টি মুক্ত অঞ্চলের মধ্যে পঞ্চগড় ছিলো অন্যতম। ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্চগড় মুক্ত থাকলেও ১৭ই এপ্রিল সকালে এসে দখলে নেয় পাক হানাদার বাহিনীরা। তারা পঞ্চগড়ে প্রবেশ করে শহরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং নির্বিচারে গনহত্যার খেলায় মেতে ওঠে। 

তবে, তা মুক্তিকামী বাঙ্গালীদের মনোবলকে ভাঙতে পারেনি বরং এতে হতাশ না হয়ে দৃঢ় মনোবলে লড়াই চালিয়ে যায় এ অঞ্চলের মুক্তিকামী মানুষেরা। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঠাকুরগাঁও মহকুমার ৬ নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত ছিলো পঞ্চগড়। এ সেক্টরটির বেসামরিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তৎকালীন প্রদেশিক সদস্য এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। এছাড়াও এডভোকেট কমর উদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট মোশারফ হোসেন চৌধুরী, কাজী হাবিবর রহমান, আব্দুল জব্বার এ সেক্টরটির নেতৃত্ব দেন। 

সেসময় এ এলাকায় ৭ টি কম্পানীর অধীনে ৪০টি মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট পাকবাহিনীর বিরদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ভারতে থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে উত্তর পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভূখন্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত গেরিলা হামলা চালাতে থাকে তারা। তুমুল যুদ্ধের এক পর্যায়ে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাড়াশি আক্রমণে ২৯ নভেম্বরে পঞ্চগড় ছাড়তে বাধ্য হয় পাকবাহিনী। ৭ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ নাম না জানা অসংখ্য নিরিহ মানুষের বিনিময়ে হানাদার মুক্ত হয় পঞ্চগড়।  

কমেন্ট বক্স